প্রেম করে বিয়ে, ১০ বছর পর….

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় নিজ বসত ঘর থেকে শুক্রবার সকালে মনি মালা (২৮) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

অভিযোগ উঠেছে স্বামী জসিম বেপারী (৩৪) পারিবারিক কলহের জেরে হাত পা বেঁধে তার স্ত্রী‌ ম‌নি মালা‌কে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে পালিয়েছে। নিহত মনি মালা নড়িয়া পৌরসভার ৩ নং ওয়া‌র্ডের সোনার বাজার খ‌লিফা কা‌ন্দি গ্রামের মো. ইয়ার বক্স সরদারের মেয়ে।

পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত ম‌নি মালার ভাই জাহাঙ্গীর সরদার জানান, ২০০৮ সা‌লে নড়িয়া উপজেলার সাহেবের চর (চর ন‌ড়িয়া) গ্রামের আবেদ আলী বেপারীর ছেলে জসিম বেপারীর সাথে একই উপজেলার সোনার বাজার খ‌লিফা কা‌ন্দি গ্রামের ইয়ার বক্স সরদারের মেয়ে মনি মালার প্রেম ক‌রে বিয়ে হয়। বিবাহিত জীবনে তাদের ঘরে শাহাদাৎ হো‌সেন (৮) ও ম‌হিউ‌দ্দিন (৬) না‌মে দুটি ছেলে সন্তান র‌য়ে‌ছে।

বিয়ের পর থেকেই যৌতুকসহ নানা পারিবারিক বিষয় নিয়ে মনি মালার উপর শারীরিক ও মনসিক নির্যাতন করতো জসিম বেপারী। পদ্মার ভাঙ্গনে‌ জসিম বেপারীর বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেলে এক বছর যাবৎ উপজেলার বাশতলা এলাকায় জমি ভারা নিয়ে বসবাস করে আসছিল।

বৃহস্পতিবার রাতে আবার মনি মালা ও তার স্বামী জসিম বেপারীর স‌ঙ্গে পা‌রিবা‌রিক বিষয়‌ নি‌য়ে ঝগড়া হয়। পরে শিশুরা ঘুমিয়ে পরলে হাত পা বেঁধে ম‌নি মালা‌কে শ্বাস‌রোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায় জসিম।

শুক্রবার সকালে শিশু সন্তানেরা ঘুম থেকে উঠে মেঝেতে মায়ের লাশ পরে থাকতে দেখে কান্না শুরু করলে প্রতি‌বে‌শিরা ছুটে আসে। হাত পা বাঁধা অবস্থায় ঘরের মেঝেতে লাশ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।